ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেসব লক্ষণে বুঝবেন শিশুর নিউমোনিয়া,লক্ষণে বুঝবেন কী করবেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯
  • ২০৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিউমোনিয়া একটি জটিল রোগ। শীত এলেই শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক শিশু মারা যায়। বিশেষ করে শীতের সময়ে এই রোগের প্রকোপ বাড়ে।

শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক- সব বয়সের মানুষকেই আক্রান্ত হতে হচ্ছে এই রোগে। পৃথিবীতে মৃত্যুর অষ্টম কারণ হিসেবে চিহ্নিত এ রোগ।

নিউমোনিয়া কী?

নিউমোনিয়া হলো- মানব শরীরের ফুসফুসের সংক্রমণজনিত বা প্রদাহজনিত একটি রোগের নাম। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক কিংবা ভাইরাসের সংক্রমণে এই রোগের সৃষ্টি হয়। অ্যাডেনো ভাইরাস, রাইনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এবং প্যারেনোফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণে দেখা দেয় এ রোগ।

রোগের কারণ

ফুসফুসে স্ট্রেপ্টোকোকাস ব্যাকটেরিয়া ও শ্বাসযন্ত্র আর এসভি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে এই রোগের উৎপত্তি। এই সংক্রমণের ফলে ফুসফুস ফুলে ওঠে এবং নিঃশ্বাস নেয়ার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে অক্সিজেন গ্রহণে সমস্যায় পড়তে হয়। এই রোগ মূলত শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। কারণ এই বয়সে শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেকটাই কম থাকে।

আসুন জেনে নিই যেসব লক্ষণে বুঝবেন নিউমোনিয়া-

১. জ্বর ও ক্লান্তি অনুভব করা।

২. মাত্রাতিরিক্ত ঘাম ও কাশি হওয়া।

৩. শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট।

৪. বুকে ব্যথা ও শরীরে কাঁপুনি।

৫. মাথাব্যথা ও শরীরের মাংসপেশী ব্যথা।

৬. খাওয়ার প্রতি অনীহা ও বমি বমি ভাব।

চিকিৎসা

এই রোগের চিকিৎসা সাধারণত নির্ভর করে কী ধরনের নিউমোনিয়া রোগীকে আক্রমণ করছে তার ওপর।

১. জ্বর, সর্দি-কাশি হলে যদি কমতে না চায়, তবে দুই থেকে তিন দিনের মাথায় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

২. ডাক্তারের পরামর্শে সিটিস্ক্যান ও বুকের এক্সরে করাতে হবে।

৩. সঠিক রক্ত পরীক্ষা ও কফ বা শ্লেষ্মা পরীক্ষা করতে হবে।

৪. ওষুধ চলাকালে পাঁচ থেকে ছয় দিনের মাথায় না কমলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।

৫. চিকিৎসা চলাকালে অ্যান্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্স গ্রহণ করবেন।

সূত্র: বোল্ড স্কাই

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যেসব লক্ষণে বুঝবেন শিশুর নিউমোনিয়া,লক্ষণে বুঝবেন কী করবেন

আপডেট টাইম : ০৮:৪৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিউমোনিয়া একটি জটিল রোগ। শীত এলেই শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক শিশু মারা যায়। বিশেষ করে শীতের সময়ে এই রোগের প্রকোপ বাড়ে।

শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক- সব বয়সের মানুষকেই আক্রান্ত হতে হচ্ছে এই রোগে। পৃথিবীতে মৃত্যুর অষ্টম কারণ হিসেবে চিহ্নিত এ রোগ।

নিউমোনিয়া কী?

নিউমোনিয়া হলো- মানব শরীরের ফুসফুসের সংক্রমণজনিত বা প্রদাহজনিত একটি রোগের নাম। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক কিংবা ভাইরাসের সংক্রমণে এই রোগের সৃষ্টি হয়। অ্যাডেনো ভাইরাস, রাইনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এবং প্যারেনোফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণে দেখা দেয় এ রোগ।

রোগের কারণ

ফুসফুসে স্ট্রেপ্টোকোকাস ব্যাকটেরিয়া ও শ্বাসযন্ত্র আর এসভি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে এই রোগের উৎপত্তি। এই সংক্রমণের ফলে ফুসফুস ফুলে ওঠে এবং নিঃশ্বাস নেয়ার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে অক্সিজেন গ্রহণে সমস্যায় পড়তে হয়। এই রোগ মূলত শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। কারণ এই বয়সে শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেকটাই কম থাকে।

আসুন জেনে নিই যেসব লক্ষণে বুঝবেন নিউমোনিয়া-

১. জ্বর ও ক্লান্তি অনুভব করা।

২. মাত্রাতিরিক্ত ঘাম ও কাশি হওয়া।

৩. শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট।

৪. বুকে ব্যথা ও শরীরে কাঁপুনি।

৫. মাথাব্যথা ও শরীরের মাংসপেশী ব্যথা।

৬. খাওয়ার প্রতি অনীহা ও বমি বমি ভাব।

চিকিৎসা

এই রোগের চিকিৎসা সাধারণত নির্ভর করে কী ধরনের নিউমোনিয়া রোগীকে আক্রমণ করছে তার ওপর।

১. জ্বর, সর্দি-কাশি হলে যদি কমতে না চায়, তবে দুই থেকে তিন দিনের মাথায় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

২. ডাক্তারের পরামর্শে সিটিস্ক্যান ও বুকের এক্সরে করাতে হবে।

৩. সঠিক রক্ত পরীক্ষা ও কফ বা শ্লেষ্মা পরীক্ষা করতে হবে।

৪. ওষুধ চলাকালে পাঁচ থেকে ছয় দিনের মাথায় না কমলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।

৫. চিকিৎসা চলাকালে অ্যান্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্স গ্রহণ করবেন।

সূত্র: বোল্ড স্কাই